পশুকে জবাই করার পূর্বে ভালভাবে গোসল করিয়ে নেবেন এবং পশুর দেহে যেন কোন ময়লা না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখবেন। জবাই করার ২ ঘন্টা পূর্বে পশুকে প্রচুর পানি পান করাবেন। এতে পশু দেহ থেকে চামড়া ছাড়ানো সহজ হবে।
পশুকে জবাই করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে পশুর দেহে চোট না লাগে। চোট লাগলে চামড়া থেতলিয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
জবাই করার জন্য নোকদার ছুরি এবং চামড়া ছাড়াবার জন্য মাথা বাঁকানো ছুরি ব্যবহার করুন।
জবাই করার পর পশু দেহ নিস্তেজ হয়ে গেলে চিৎ করে শুইয়ে দু’পাশে ঠেস দেবেন, এতে ছুরির কাটা দাগ লাগার সম্ভাবনা থাকে না।
নোকদার ছুরির অগ্রভাগ দিয়ে জবাই করার স্থান থেকে গলা, সিনা ও পেটের উপর দিয়ে সোজাসুজি দাগ কেটে নিন।
সামনের দু’পায়ের হাঁটু থেকে সিনা পর্যন্ত চামড়া কেটে প্রথমোক্ত দাগের সঙ্গে মিলিয়ে নিন।
ছোট পশুকে গাছের ডালে বা ঝুলনে ঝুলিয়ে চামড়া ছাড়াবেন। এতে চামড়া নষ্ট হয় না।
ছাড়াইকৃত চামড়া যত শীঘ্র বিক্রয় কেন্দ্রে পাঠাবার ব্যবস্থা করুন। ৫-৬ ঘন্টার মধ্যে চামড়া বিক্রি না হলে চামড়া সংরক্ষণের পদ্ধতি অনুযায়ী সংরক্ষণ করুন।
চামড়াকে সঠিকভাবে ছাড়ানো ‘আমার, আপনার সকলের’ দায়িত্ব। চামড়া একটি মূল্যবান জাতীয় সম্পদ।
কোরবানীর পশুর চামড়া সংরক্ষণের সহজ নিয়মাবলী
চামড়া ভালোভাবে পরিস্কার পানিতে ধুয়ে নিন।
চামড়ায় লেগে থাকা অতিরিক্ত মাংস, চর্বি এবং ঝিল্লি ভালভাবে ছুরি দিয়ে উঠিয়ে ফেলুন, তা না হলে ঐ সমস্ত স্থানে লবণ প্রবেশ করবে না।
চামড়ার মাংসের পিঠ উপরের দিকে রেখে মুঠি মুঠি লবণ ছড়িয়ে হাত দিয়ে ভালভাবে ঘষে তাতে লাগিয়ে দেবেন।
প্রথমবারে লাগানো লবণ চুষে নিলে আরও একবার লবণ ছড়িয়ে দেবেন।
মনে রাখবেন গরুর চামড়া প্রতিটির জন্য ৫-৭ কেজি এবং ছাগল/ভেড়ার চামড়া প্রতিটির জন্য ১.৫-৩ কেজি লবণ দরকার হয়।
চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা ‘আমার, আপনার সকলের’ দায়িত্ব। চামড়া একটি মূল্যবান জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদ সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণের মাধ্যমে বাজারজাতকরণের ফলেই উপযুক্ত মূল্য পাওয়া সম্ভব।